আজ বৃহস্পতিবার, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুলতায় ধর্ষক অধরা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নে অবুঝ শিশু শ্রাবন্তী রানী বিশ্বাসকে ধর্ষণ করেছে চন্দ্র কিশোর ওরফে চন্ডা ( ৪৮)। গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মাছুমাবাদ দিঘীরপাড় এলাকার শিবু ঠাকুরের নির্জন পরিত্যক্ত বাড়ীর রান্না ঘরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ধর্ষিতার মা সুমি রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ১৭ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামি করা হয়েছে তিনজনকে। তারা হলেন মাছুমাবাদ দিঘীরপাড় এলাকার মৃত অম্বরিশ বিশ্বাসের ছেলে চন্দ্র কিশোর ওরফে চন্ডা ( ৪৮) , চন্দ্র কিশোর ওরফে চন্ডার ছেলে প্রান্ত বিশ্বাস (২২), চন্দ্র কিশোর ওরফে চন্ডার স্ত্রী বাসন্তি রানী (৪৪)।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায় ভিক্টিমকে তার বাড়ি থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে চন্দ্র কিশোর ওরফে চন্ডা ( ৪৮)। তখন প্রতিবেশীরা শ্রাবন্তী রানী বিশ্বাসের ঘোংরানীর শব্দ শুনিয়া এগিয়ে আসলে ধর্ষক চন্ডা ( ৪৮) পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ধর্ষকের পরিবারকে ভিক্টিমের মা জানালে বিবাদীরা উল্টো ভিক্টিমের পরিবারকে মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং মামলা করতে নিষেধ করে। মামলা করলে বা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়।
ধর্ষণ মামলার আসামিকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। জানা গেছে আসামিরা এলাকায় এসে ঘুরে বেড়ায় ।
এব্যাপারে শনিবার ( ১৯ ডিসেম্বর) মামলার বাদী সুমি রানী বিশ্বাস সংবাদচর্চাকে বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমরা ধর্ষকের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি। আমি এর দ্রুত বিচার চাই।
তিনি বলেন, এলাকার একটি চক্র ধর্ষকের পক্ষে কাজ করছে। আসামিরা বলে বেড়াচ্ছে মামলা দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারবে না বাদী । তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসবে। আমরা জামিনের আগে ধর্ষকের গ্রেফতার দাবি করছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব- ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মাহবুব উর রহমান সংবাদচর্চাকে বলেন, বাদীসহ এলাকাবাসী আসামি গ্রেফতারে সহযোগিতা করছে না। আমি আসামিকে চিনি না। আসামির একটি নাম্বার দিয়েছে সেটি বন্ধ পাচ্ছি। তারপরও টেকনোলোজির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।